How to secularize our country and society

কয়েকদিন আগে আমি একটি পোস্ট দিয়ে ছিলাম যে, কেনো আমাদের দেশ এখনো Secular হতে পারে নি? এখন আমি বলতে চাই কিভাবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রকে Secular করা যেতে পারে। আমি জানি না আমার পোস্টএ এ সবগুলো ধাপ/পদ্ধতি তুলে ধরতে পারব কিনা কিন্তু যতোগুলো পারি আমি তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

১. দেশি সংস্কৃতি এর ব্যাপন/বিদেশি সংস্কৃতি এর আমাদানি ; আমাদের অনেক সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান/উৎসব (যেমন- পহেলা বৈশাখ ও পিঠা উৎসব) ও আচার-আচরণ ইসলামের ওয়াহাবি ধ্যান-ধারণা এর সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই প্রকৃত পক্ষে আমাদের মধ্যে যদি এগুলো পালোনের প্রবণতা বাড়ানো যায় তাইলে দেশের জনগণ নিজেকে শুধুমাত্র "মুসলিম" হিসবে নয় বরং "বাঙালি মুসলিম/বাঙালি" হিসবে পরিচয় দিবে এবং ধর্মের প্রতি আকর্ষণ হ্রাস পাবে।

বিদেশি সংস্কৃতি এর আমাদানি হয়তো আরো বেশি কার্যকর হবে( আপনার আসে পাসে GenZ কে জিজ্ঞেস করুণ সে কয়টি বাংলা আর কয়টি হিন্দি জ্ঞান জানে...)। ফেসবুক এ মুল্লাহ এর ১৮-ঘণ্টা এর ওয়াজ শুনার থেকে যদি Hollywood এর কার্টুন দেখে তাইলে পোলাপান তাইলে তাদের মনের জগতে দীনী জ্ঞান বাদেও অন্য ধারণা আসবে। প্রকৃতপক্ষে এমন সকল কার্টুন/সিনেমা/বই যেখানে ধর্ম মূল-উপজীব্য নয় বরং মনুষ্যত্ব সবার উপরে যদি গুপ্ত চালান দেওয়া যায় জামাতের নাকের নিচে তাইলে দেশের উপকার হবে। বর্তমানের তরুণরা এমনেও অনেক বিদেশী জিনিস দেখে এটা যদি শিশুদের ও মধ্যবয়স্ক লোকেদের দেখানো যায়, "দেখুন কিভাবে বান্দা ইমানের উপহার পেলো ..." এর মতো low quality YouTube ভিডিও এর ক্ষয়-ক্ষতি পুরণ করা যেতে পারে। Science Fiction দেখলেও উপকার।

২. ছেকুলাররা ধর্মের বিরুদ্ধে না, ধর্মব্যবসার এর বিরুদ্ধে ; Secularism মানে যে ধর্ম নিরপেক্ষতা, ধর্মহীনতা নয় এটা সাধারণ জনগণ কে বুঝানো লাগবে। রাষ্ট্র Secular হলে সরকার যে জনগোণের ধর্ম পালন করার অধিকার কেড়ে নিবে না এবং নাস্তিক হলে যে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে না মানুষ কে এটাও বুঝানো লাগবে।

ছেকুলারদের ও ধর্ম কে গালি দেওয়া বাদ দিয়ে, "ধর্মবব্যবসার" এর উপর কথা বলা লাগবে যাতে জনগণ আশ্বাস পায় ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি কোমল হয়।

ইসলাম কে রাষ্ট্রীয় ধর্ম না সরিয়েও, Secularism অর্জন করা যেতে পারে।(রাষ্ট্রীয় ধর্মের মর্যাদা হবে খালিমাত্র সংকেত সূচক, সরকারের সিধান্তে এটি কোনো প্রভাব রাখবে না)

৩. ভারতের মুসলমানের জন্য ; আমাদের রাষ্ট্র যতো ধর্মীয়-পক্ষপাতিত্য করে চলবে তাকে কারণ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তাদের ধর্মীয়নিরপেক্ষতা খর্ব করবে। বাংলাদেশে যদি ধর্মীয়নিরপেক্ষতা কায়েম হয় তাইলে ভারতের সমালোচনা করা যুক্তিসম্মত হবে এবং ভারতও আর প্রতিবেশী দেশ "সংবিধানিক মুসলিম রাষ্ট্র" এর দোহাই দিতে পারবে না।

৪. নারীর ক্ষমতায়ন ; সমাজ যদি secular হতে হলে নারীর ক্ষমতায়ন আবশ্যক কারণ পায়ের গোড়ালি দেখানো হারাম আর সমাজে একটি হারাম হলে আর দশটি হারাম সম্ভব। Secularism ও নাকি হারাম।

৫. মুসলিম-অমুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব/মুসলিম-মুসলিম এ বিদ্বেষ ; অমুসলিম মানেই খারাপ আর মুসলিম মানেই ভালো এই ভুল ধারণা যদি দূর করা যায় তাইলে সমাজে ধর্মীয় প্রভাব হ্রাস পাবে। এই সত্য তুলে ধরার অন্যতম উপায় হলো কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা (যেমন- পলাশীর যুদ্ধ) ও তাদের চলচিত্র। বাস্তব অনেক ঘটনা যেখানে হিন্দুরা দেশের জন্য প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছে মুসলিমদের পাশে তুলে ধরতে হবে।

৬. শিক্ষা বাবস্থার উন্নতি ; শুধুমাত্র সৃজনশীলতা বৃদ্ধি নয় বরং জটিল চিন্তা করার বাবস্থাও করা লাগবে। মাদ্রাসা গুলোর ও একটি ন্যূনতম কারিকুলাম পূর্ণ করা লাগবে।

৭. মুল্লাহদের expose করা লাগবে যে তারা রিম রিম টাকা মেরে দেয় আর সুদি কারবার চালায় ও wahabi এর টাকা দেশে আশা বন্ধ করা লাগবে।

EDIT :

8. Solving massive inequality : In Bangladesh the inequality is as bad as Russia where bunch of oligarchs/rich people are hoarding a massive amount of wealth and therefore people are desperate to live a better life. Islamists have been very successful in capitalizing this issue by promising them little benefits for a vote. Other political parties and organization needs to address the issue to solve this problem. Furthermore, The more a person's living quality increases the less they feel attached to religion.